পর্তুগাল ভিসা আবেদন (অনলাইনে ভিসা আবেদন)

পর্তুগাল ভিসা আবেদন : আমাদের আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইন আবেদন করার সম্পর্কে।

তো আজকের আলোচনা তে, পর্তুগাল ভিসা আবেদন কিভাবে করতে হয়। সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

পর্তুগাল ভিসা আবেদন (অনলাইনে ভিসা আবেদন)

পর্তুগাল কাজের ভিসা : পর্তুগাল ভিসা অনলাইন আবেদন ২০২৩

বর্তমান সময়ে কাজের জন্য লোকেরা পর্তুগাল কাজের ভিসা নিয়ে থাকেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় পর্তুগাল কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি এবং শ্রমিকদের গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি।

এছাড়া আপনি পর্তুগাল ভিজিট ভিসা’র মাধ্যমেও সেখানে গিয়ে কাজ করতে পারবেন। 

তো আজ এই আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়ে দেবো। পর্তুগাল কাজের ভিসা কিভাবে পাবেন। ও পর্তুগাল কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রয়োজন। 

এবং কিভাবে কোথায় আবেদন করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত। 

পর্তুগাল ভিসা আবেদন এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

পর্তুগাল কাজের ভিসা আবেদন করতে চাইলে, নির্ধারিত কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রয়োজন এ সকল কাগজপত্র অনুযায়ী ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। 

এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তা আমরা নিচে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। 

সেগুলো হচ্ছে-
  • ৬ মাস মেয়াদী পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • কৃষি কাজের দক্ষতা সনদ
  • পূর্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা পত্র
  • পূর্বে কোথাও ট্রাভেল করেছেন তার প্রমাণ পত্র।
আপনি যদি পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে চান? মানে পর্তুগাল কাজের ভিসা অনলাইনে ভিসা আবেদন করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করতে হবে। 

অনলাইনে ভিসা আবেদন

স্থানীয় সংস্থার মাধ্যমে, আপনারা পর্তুগাল কাজের ভিসা খরচ লাগতে পারে ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত। 

পর্তুগালে আপনার যদি কোন আত্মীয় বসবাস করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি কাজের জন্য ইনভাইটেশন পেয়ে যান। 

তবে আপনি খুব সহজে চাকরি পাবেন এবং আপনার খরচ কিছুটা কমে যাবে। 

এছাড়া আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। পর্তুগাল গভমেন্ট ওয়েবসাইট এবং জব সাইট গুলোতে খুব সহজে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 

সেখানে আমরা সিভি দেওয়ার পরে তারা আপনার ইমেল এবং মোবাইল নাম্বার অনুযায়ী আপনাকে জানিয়ে দেবে। এবং আপনার ভিসা প্রসেস তারাই করে দেবে। 

এর মাধ্যমে আপনি অনেক সহজে ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তো আপনারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে ভিসার অনলাইন আবেদন করতে চান?  তবে, এই লিংকে ক্লিক করুন। 

আপনারা বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিত্তিতে ভিসা আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সেই  ওয়েবসাইটে গিয়ে, আপনার সিভি তৈরি করে সাবমিট করতে পারবেন। 

এছাড়া সিভিতে বিস্তারিত সুন্দরভাবে আপনার বিষয়টি বা দক্ষতা তুলে ধরবেন। তবে আপনাকে খুব সহজে তারা ভিসা দিতে রাজি হবে। 

তো এটি একমাত্র উপায় যেখান থেকে আপনি পর্তুগাল কাজের বিচার সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই আপনি যেখানে একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করবেন। 

সেটি খুব সহজে পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। তাই অবশ্যই সবার আগে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

পর্তুগাল ভিসার জন্য কি কি দক্ষতা লাগবে ?

পর্তুগালে কাজ করার জন্য আপনার দক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। আপনাকে স্বাবলম্বীভাবে ইংরেজি ভাষা শিখতে হবে বা জানতে হবে। বিশেষ করে পর্তুগাল ভাষা সম্পর্কে আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। 

পর্তুগালে আপনি রেস্টুরেন্ট ও কম্পিউটার অপারেটর এবং ড্রাইভিং পদের জন্য যদি নিয়োগ হন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে দক্ষতা অবশ্যই অর্জন করতে হবে। 

এছাড়া আপনি অন্যান্য জায়গায় যে কাজগুলো করছেন সেখান থেকে একটি প্রমাণস্বরূপ সার্টিফিকেট নিয়ে রাখবেন। 

তবে, আপনার দক্ষতা তারা যাচাই করতে পারবে আর যদি আপনি পাইপ ফিটিং বা ক্লিনার পদের জন্য নিয়োগ পান। 

সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আপনাকে সেই ধরনের বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

সেটি না হলে আপনাকে কাজের অভিজ্ঞতার জন্য আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তাই অবশ্যই পর্তুগাল ভিসা আবেদন করবেন।

বাংলাদেশের টিটিসি সহ বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমে আপনারা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্কিলড হতে পারেন।

যেমন-
  • ড্রাইভিং
  • হোটেল বয়
  • পাইপ ফিটিং
  • কম্পিউটার অপারেটিং ইত্যাদি। 
এ ধরনের কাজ গুলোর উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। এ টিপসগুলো আপনার জেলা এবং বিভাগ পর্যায়ে রয়েছে। 

যেখানে সামান্য কিছু পরিমাণের টাকা দিয়ে, আপনাদের দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। এবং সার্টিফিকেট গ্রহণ করতে পারবেন।

পর্তুগালে কয়টার এর কাজ করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ভালোমতো ইংরেজি না পারলেও পর্তুগাল ভাষা জানতে হবে। তবে আপনি ওয়েটার হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন। 

এছাড়া অনেক ধরনের ফ্যাক্টরি রয়েছে। যেমন ফুট প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, মাংস প্যাকেজিং করার জন্য বিভিন্ন ফ্যাক্টরি, সুপার শপ, মাল্টি শপ ক্লিনিং এ সকল বিভিন্ন ফ্যাক্টরিগুলোতে কাজের চাহিদা অনেক বেশি পরিমাণের।

এক্ষেত্রে যাদের ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে মানে যারা কম্পিউটার সফটওয়্যার গ্রাফিক ডিজাইন এ ধরনের কাজগুলো করতে পারেন। 

তারা চাইলে এই কাজগুলো এখানে করতে পারবেন। যা অন্যান্য কাজগুলো থেকে অনেক বেশি আরামদায়ক এবং অনেক বেশি উপার্জন করা সম্ভব। 

পর্তুগাল ভিসা খরচ

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান তাহলে আপনার কত টাকা লাগবে এটা কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে না। তার কারণ ভিসার মেয়াদ এবং সময়ের উপর ভিত্তি করে পর্তুগাল ভিসার দাম নির্ভর হয়। 

এছাড়া পর্তুগালে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভিসা আছে। পর্তুগাল ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, মেডিকেল ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা ইত্যাদি।

আপনারা ভিসা ক্যাটাগরির ওপর নির্ভর করে পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগবে সে বিষয়ে আপনারা অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। 

তবে আমি আপনাদের সুবিধার জন্য ধারণা দিয়ে বলতে পারি আমাদের বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ পর্তুগাল কাজের ভিসা নিয়ে গমন করে। 

আর বর্তমান সময়ে, পর্তুগাল সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ করার জন্য জনশক্তি আমদানি করছেন। 

আমাদের বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য পরিমাণের মানুষ পর্তুগালে কাজের জন্য গিয়েছেন বাচ্ছেন। বর্তমান সময়ে পর্তুগাল কাজের ভিসার খরচ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। 

পর্তুগাল ভিসা এই খরচটি আমরা আনুমানিকভাবে আপনাকে জানালাম। পর্তুগাল ভিসা করার জন্য দশ লক্ষ টাকার ওপরেও লাগতে পারে। 

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আমাদের আজকের আর্টিকেল ছিল পর্তুগাল ভিসা আবেদন। অনলাইনে ভিসা আবেদন করার উপায়। 

আপনি যদি পর্তুগাল কাজের ভিসা নিয়ে, বাংলাদেশ থেকে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার মত খরচ হতে পারে। 

তাই আপনি যদি পর্তুগাল ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে উপরোক্ত লিংকে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে নিজে নিজে আবেদন করতে পারবেন। 

আর পর্তুগাল ভিসা আবেদন করা সম্পূর্ণ করে আবেদন কপিটি প্রিন্ট করে, আপনারা ভিসা অফিসে যোগাযোগ করে আপনার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। 

আমাদের আজকের পর্তুগাল ভিসা আবেদন আর্টিকেলটি এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো। 

এক্ষেত্রে, আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পর্তুগাল ভিসা ছাড়া আরো অন্যান্য দেশের ভিসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান? তবে এটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন