নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ১০ টি টিপস

নতুনদের জন্য ফ্রীলান্সিং টিপস : কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হবে তার বেশিরভাগ মানুষ এর কাছে অজানা একটা বিষয়।

তবে এটি সম্পূর্ণভাবে বোধগম্য একটি বিষয় যে, কোনো ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার একজন ব্যক্তির জন্য অনেক কঠিন হয়ে যেতে পারে।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ১০ টি টিপস

বিশেষ করে, যারা ফ্রিল্যান্সিং এ নিজের প্রধান কাজ হিসেবে গ্রহণ করতে চান। তাদের কাছে জিনিসটা জটিল মনে হতে পারে। 

তবে এটি অবশ্যই সত্যি বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রায় 300 লাখের মতো মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করা যাচ্ছে। 

তাই নতুন ব্যক্তিদের কাছে ফ্রীল্যান্সিং শুরু করা মোটেও অসম্ভব কাজ নয়। 

আপনি যদি ফুলটাইম ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার কথা ভেবে থাকেন। 

তাহলে আপনি যদি আলাদাভাবে ইনকাম করার জন্য একটা পার্টটাইম ফ্রীলান্সিং জব খুজতে চান তাহলে সঠিক একটি প্রাসাদ খোঁজ করছেন। 

কারণ আপনার ভবিষ্যত জীবন আর্থিক এবং পেশাগতভাবে সুন্দর করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং একটি দুর্দান্ত মাধ্যম। 

আমাদের আজকের এই আলোচনায় আপনাদের জানাতে চাচ্ছি নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ১০ টি টিপস সম্পর্কে।

তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার ১০ টি কার্যকরী উপায় গুলো। 

যে টিপস গুলো শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করতে পারলে।

আপনি সহজেই অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে, মোটা পরিমাণের টাকা আয় করতে পারবেন।

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ১০ টি টিপস

তো আপনি যদি নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তাহলে আমাদের দেওয়া ১০ টি টিপস আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

তার জন্য নিচে দেওয়া ১০ টি টিপস শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আর সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন ।

01. আপনাকে আপনার বস মনোভাবটা বজায় রাখুন

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে শুধুমাত্র দক্ষতা থাকলেই চলবে না সেজন্য একটি সঠিক মানসিকতা থাকতে হবে। 

এছাড়া আপনাদের যত পরিমাণের ফ্রিল্যান্সিং ক্লায়েন্ট থাকুক না কেন।

তারা যতোই আপনার কাজের বিনিময় টাকা প্রদান করুক না কেন তাদের মধ্যে কেউ কিন্তু আপনার বস নয়।

ফ্রীলান্স কাজে আপনি মেয়ে যে আপনার বস। আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কাজে নিজে নিজের বছরটা দারুন ব্যাপার হিসেবে প্রমাণিত। 

তবে আপনাদের এ বিষয়ে অভ্যাস না থাকলে, এই বিষয়টির সাথে নিজেকে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে হবে। 

বর্তমান সময়ে যারা টাইম টু টাইম চাকরিতে অভ্যস্ত। তাদের কাছে নিজেই নিজের বস মানসিকতা গড়ে তোলাটা অনেক কঠিন ব্যাপার। 

তার জন্য নিজেকে যত তাড়াতাড়ি এই স্বাধীন মানসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন ততোই আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে যাত্রা শুরু করতে পারবেন। 

02. নিজের দক্ষতা, ট্যালেন্ট ও আগ্রহ গুলো জানুন

আমাদের মধ্যে সকলেই কম আর বেশি ট্যালেন্ট বা দক্ষতা থাকলেই এমনকি আপনারও অবশ্যই আছে বিভিন্ন দক্ষতার ট্যালেন্ট এবং আগ্রহ। 

সাধারণত আপনার এমন কোন দক্ষতা বা ট্যালেন্ট রয়েছে, যাতে আপনি সত্যিই ভালো। 

আপনি তা উপভোগ করেন এমনকি সে গুলোর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করা প্রবল সম্ভাবনা দেখে থাকেন। 

সে ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যে ধরনের কাজ করতে আগ্রহী তা হয়তো আপনি ইতিমধ্যে ঠিক করে নিয়েছেন। 

আর আপনি যদি নাও ঠিক করে থাকেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি নানা ধরনের কাজ করে দিতে পারবেন। 

যার মধ্যে কয়েকটি কথা আমরা নিচের আলোচনায় উল্লেখ করেছে দেখুন-
  • রাইটিং।
  • প্রোগ্রামিং।
  • বুককিপিং।
  • টিউটোরিং।
  • কনসাল্টিং।
  • প্রুফরিডিং।
  • ট্রান্সক্রিপটিং।
  • গ্রাফিক ডিজাইনিং।
  • ভার্চুয়াল এসসিসটিং।
  • সফটওয়্যার ডেভেলপিং।
  • মেডিকেল কোডিং, বিলিং।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং, ইত্যাদি।
একাজগুলো বাদ দিলেও এমন অনেক ফ্রিল্যান্সিং কাজের সুযোগ সারা ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে আছে। যে কাজগুলো করার জন্য কোন বিশেষ ডিগ্রী করার প্রয়োজন পড়ে না।

03. অনুসন্ধান করুন

ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে যে ফিল্ডে কাজ করার কথা ভাবছেন ফিল্ডের মার্কেট ডিমান্ড এবং টাকা ইনকামের পরিমাণের ওপর যথেষ্ট অনুসন্ধান চালাবেন। 

যদি এখনও আপনি কাজের ব্যাপারে নিশ্চিত না হন তাহলে অবশ্যই চাপের কিছু নেই। 

আমাদের এই টেস্টগুলো আপনাকে আপনার কাজ বেছে নিতে সহায়তা করবে। 

আপনি যে সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে আগ্রহী সেগুলো ওপর অনুসন্ধান করে, বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর গুলো খুঁজুন। 

ফ্রিল্যান্সিং কাজের ধরন কাজের মান কাজের চাহিদা এবং প্রতিযোগিতার মতো বিষয়গুলো ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের পরিমাণকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে থাকে। 

এছাড়া আপনার অভিজ্ঞতা ও কোন ওয়েবসাইটে আপনার ক্লায়েন্টরা আপনাকে নিয়োগ করেছে। তার ওপরে ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করবে।

তবে আপনার আগ্রহের কাজের ফিল্ডে ফ্রিল্যান্সারদের একটা ভালো উপায় হল ইন্টারনেটের এই ধরনের আনুমানিক মাসিক বেতন অনুসন্ধান করা।

আপনার জানাশোনা ফ্রিল্যান্সারদের এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন।

04. নিজের দক্ষতার বাড়ান

ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কিন্তু আসলে প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটপ্লেস। 

তার জন্য আপনি যদি নিশ্চিত হোন যে আপনার দক্ষতা বা ট্যালেন্ট আপনাকে যথেষ্ট এনে দিতে পারবে কিনা তাহলে চাপ না নিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতি নজর দিবেন।

আপনি দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কোন অনলাইন কোর্স শিখতে পারেন। এমনকি এমন বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে যা থেকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ শেখা সম্ভব। 

এক্ষেত্রে কিছু বিনামূল্যের আছে আবার বেশকিছু বেশ ব্যয়বহুল কোর্স আছে। 

কোন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে বিনামূল্যের কোর্সগুলো সহায়তা করলেও পেশাদার ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য প্রিমিয়াম কোর্স করলে ভালো হবে। 

অনলাইন করছে টাকা ব্যয় করার আগে আপনি সে কোর্স মেয়ে লোকেরা কি বলছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করবেন। 

আপনি যে সকল কসবা ওয়েবসাইট থেকে এই কোড গুলো কিনবেন তার রিফান্ড আছে কিনা তা অবশ্যই দেখে নিবেন। 

 প্রথমে নিশ্চিত হবেন আপনার নির্বাচিত আসলে আপনার সময় অর্থ অপচয় করবে নাতো। 

তাছাড়া আপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য সাধারণভাবে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেন যেমন-
  • নিয়মিত ব্লগ পড়ুন।
  • পডকাস্ট শোনা।
  • ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হওয়া। 
  • অনলাইনে বিনামূল্যে কোর্সের সাথে যোগ দেওয়া।
05. ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো খুঁজুন

আপনি কোথায় ক্লায়েন্ট এবং কাজ খুঁজতে পারবেন তা আপনি কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ করবেন তার ওপর নির্ভর করবে। 

বর্তমানে এমন অনেক অনলাইন কাজ সন্ধানের প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সার কাজ সহজে খুঁজে পেতে পারেন।

এ প্লাটফর্ম গুলোতে ও এরকম হয়না। ফাইবার কিংবা অফ ওয়ার্ক এর মত মার্কেটপ্লেসগুলোর কম বেতনের কাজ দিয়ে থাকে আবার অন্যান্য চাকরির সন্ধান এর সাইট গুলো তাদের থেকে আরো বেশি বেতন এর চাকরির অফার দেয়। 

বিভিন্ন চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইট সারা বিশ্বের মানুষ এর জন্য যেকোনো ধরনের চাকরির প্রস্তাব দিলে এমন অনেক সাইট আছে যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজের সন্ধান প্রদান করে।

তবে যেকোন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার আগেই নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে যেমন-
  • ক্লায়েন্ট পাওয়ার সুযোগ সুবিধা কেমন।
  • প্ল্যাটফর্ম গুলোর লিস্ট গুলো ভালো করে দেখে নিবেন। 
  • তাদের পেমেন্ট গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত সন্ধান করবেন। 
  • আপনার ও আপনার দক্ষতা প্রদর্শন এর জন্য আদর্শ কিনা দেখবেন।
আমরা আপনার সুবিধার জন্য এখানে ফ্রিল্যান্সিং কাজ খোঁজার জন্য কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যেমন-
  • WorknHire
  • Upwork
  • Truelancer
  • Freelancer
06. স্ক্যামের থেকে দূরে থাকুন

দুর্ভাগ্যবশত স্ক্যাম বা প্রতারণার বিষয়টি সকল জায়গার মতো ফ্রিল্যান্সিং এ ও আছে। আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং কর্মজীবন ভালোভাবে শুরু করতে চাইলে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্ম এর সাথে যুক্ত হবেন।

সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি কোন ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। 

তবে সম্ভব না হলে পার ডে বা পার প্রজেক্ট পেমেন্ট এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার চেষ্টা করুন।

অনেক ওয়েবসাইট বা জব পোর্টাল থাকে। যেগুলো নিজেই জালি হয়ে থাকে সেখানকার জারি হতে পারে। 

তবে সবসময় মনে রাখবেন যে কোন একটা চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে কোন থার্ড পার্টিকে কোনভাবেই টাকা প্রদান করতে হবে না। 

07. বিভিন্ন কানেক্শনের সাথে যুক্ত হন

ইন্টারনেট ফ্রীল্যান্সিং এর প্রধান মাধ্যম হল বাস্তব জীবনে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি প্রসারিত একটি মাধ্যম। 

তাই আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে এমন মানুষজনদের সাথে পরিচিত যারা আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং কাজ দিতে পারেন তাদের সাথে বিনা দ্বিধায় যোগাযোগ করবেন।

তাদেরকে জানাবেন যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন এবং তারা আপনাকে কোন কাজ দিতে সক্ষম হবে কিনা তাও জিজ্ঞাসা করবেন।

08. নিজের বেস্টটা দিন

ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করার আগে নিশ্চিত করবেন যে আপনি আপনার ফ্রীলান্সিং কাজটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ পেশাদারী রূপে প্রস্তুত হয়েছেন।

আপনি যদি মনে করেন আপনার দক্ষতা আর আপ স্কিলিং করার প্রয়োজন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে সে গুলোকে উন্নত করবেন।

একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে ভালো খেতে ঘরে তুলতে গেলে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নজর দিতে হবে সেগুলো হচ্ছে-
  • আপনার সকল কাজে আপনার বেস্টটা দিবেন।
  • সর্বদা শেষ সময় এর আগে বা সময়ের মধ্যে কাজ করে জমা দিবেন। 
  • সাথে ভালো ব্যবহার এবং ধারাবাহিকতায় যোগাযোগ রাখবেন।
  • সব সময় আপনার কাজের সম্পর্কে দক্ষতা বাড়ানোর টা চালিয়ে যাবেন। 
  • ক্লায়েন্টের কাছ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা কথা জিজ্ঞাসা করবেন।
  • আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব আপনার কাজকে সারা করার চেষ্টা করবেন।
09. একটা মজবুত পোর্টফোলিও তৈরী করুন

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে একটি পেশাদার পর্টফলিও থাকাটা আবশ্যক। একটি পোর্টফোলিও আপনার ট্যালেন্ট ও দক্ষতাকে দর্শাতে সহায়তা করে।

ক্লায়েন্টের কাছে পোর্টফলিও ব্যাপারটা খুব জরুরী। পোর্টফোলিওতে কাজের অভিজ্ঞতা ও ধারণাগুলো ক্লায়েন্টদেরকে তাদের জন্য উপযুক্ত ফ্রিল্যান্সার খুজে পেতে সহায়তা করে।

একটি ভালো পোর্টফোলিওতে, আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা রেসুমেও থাকতে পারে যার মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা বা ট্যালেন্ট কে শোকেশ করতে পারেন।

কোন ভালো পোর্টফোলিও তৈরীর জন্য নিম্নলিখিত কয়েকটি উপাদান প্রয়োজন যেমন-
  • আপনার দক্ষতার হাইলাইট।
  • আপনার আগের প্রজেক্ট এবং স্যাম্পল ওয়ার্ড প্রদর্শন।
  • আপনার কাজের রিভিউ কে টেস্টিমোনিয়াল রাখতে হবে।
  • আপনার পোর্টফোলিও আপনার আবেগ আগ্রহ গুলোকে যাতে প্রতিফলিত করে। 
  • আপনার পটুয়াখালীতে সাম্প্রতিক কৃতিত্ব সংযুক্ত করার পাশাপাশি সবসময় আপডেট করে নিতে হবে।
  • এছাড়া সবসময় আপনার পোর্টফোলিও কি এর সংক্ষিপ্ত সৃজনশীল এবং আগ্রহজনক করে তুলতে হবে।
10. পেমেন্টের ব্যবস্থা করুন

এইবার আপনার ফ্রিল্যান্সিং গাইড এর চূড়ান্ত ধাপে এসে গেছি আর সেটি হচ্ছে পেমেন্ট। আর পেমেন্ট হলো ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট।

তবে ভালো কারেন্ট ক্লায়েন্টরা আপনাকে সব সময় সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান করা থাকবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সমস্ত ক্লায়েন্ট এরকম হয়না।

সে ক্ষেত্রে অর্থ আদায় করা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের সাইট গুলোর মাধ্যমে সেখানে কোনো চুক্তি সাধারণত নেই।

আর তখন ফ্রিল্যান্সাররাই ইনভয়েস ও অর্থ আদান-প্রদানের বিল তৈরি করার জন্য দায়ী থাকে। তাই আপনাকে সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্ব তে ক্লায়েন্টের থেকে পেমেন্ট নিতে হবে।

যে কারণে আপনি পেমেন্ট এর সমস্যা এড়াতে নিজেদের গুলো অবলম্বন করতে পারেন-
  • ভদ্র অপেশাদার ভাবে পেমেন্ট এর বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • পেমেন্টের শর্তাবলী আপনার ইনভয়েস স্পষ্ট ভাবে প্রস্তুত করুন।
  • পেমেন্টের পরিচালনা করে এমন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ নেই।
  • ভালো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পুনরায় প্রজেক্ট নিন যারা আপনাকে অবিলম্বে পেমেন্ট করবে।
  • আপনার কাজের মূল্য আছে এবং আপনি তাৎক্ষণিক ও সম্পূর্ণ পেমেন্ট এর যোগ্য তা ক্লায়েন্টদের বুঝিয়ে দিন।
শেষ কথাঃ

নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চাইলে অবশ্যই তাদের সময় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতে হবে।

তারপর সময়ের সাথে সাথে নিজেদের পেশাদারী অভিজ্ঞতা ও বাড়িয়ে পেশাদারী গুরুত্ব বাড়াতে হবে। 

ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে গেলে ছুটি নেওয়া কিন্তু জরুরী।

তাই আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত স্বার্থ মিটে গেলে অতিরিক্ত কাজের চাপ গুলোকে না বলতে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ।

সবকিছু মিলিয়ে ফ্রীলান্সিং হলো সময়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠার পাশাপাশি অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির একমাত্র সময়ের সাথে শেখা সম্ভব হয়। 

আমাদের আজকের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ১০ টি টিপস নিয়ে আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করা হলো। 

আর্টিকেলটি পছন্দ হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন