একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সেরা ৯ টি উপায়

সফল ফ্রিল্যান্সার : ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর যে সকল স্বাধীনতা বা নমনীয়তা রয়েছে। সেটি বরত্মান প্রজন্মের বহু মানুষদের ব্যপক ভাবে আকৃষ্ট করছে।

আর এখানে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর জন্য। সেই কাজ এর প্রতি প্যঅশন থাকা অকেন জরুরী ব্যাপার।

ফ্রিল্যান্সিং পেশা গুলো আধুনিক যুগে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেছে।

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সেরা ৯ টি উপায়

তার জন্য আগের দিনের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার উপায় খুজে থাকেন।

সেই লক্ষ্যে আজ আমাদের এই পোস্টে, আলোচনা করতে যাচ্ছি। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠার সেরা মাধ্যম গুলো নিয়ে। যা ব্যবহার করে, আপনি নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।

আপনি যখন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পথে এগিয়ে যাবেন। সেই সময় আপনাকে কিছু কাজ আগে থেকে শেষ করে রাখতে হবে।

তো চলুন সেই বিষয় ‍গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। যেমন-

01. নিশ / টপিক নির্দিষ্ট করুন

অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের নিস বা টপিক সঠিক ভাবে উল্লেখ না করার ভুলটি করে থাকে। 

তার জন্য নিজের কাজ এর বিষয় স্পেসিফিক হোন। মনে করুন- আপনি আর্টিকেল রাইটার হয়ে কাজ করেন। কিন্তু অবশ্যই আপনার নিস বা টপিক নির্দিষ্ট করতে হবে।

যেমন- বিভিন্ন পণ্য িএর রিভিউ রাইটিং বা লাইফ স্টাইল রাইটিং ইত্যাদি।


02. ফ্রিলান্সার প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হন

স্বনির্ভর কাজ হিসেবে বিভিন্ন প্লাটফরম এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া অনেক জরুরী। বর্তমান সময়ে অনেক ফ্রিল্যান্সিং সাইট এবং এপস আছে। 

যেখানে. আপনার ফ্রিল্যান্সিং প্রোফাইল তৈরি করে, আপনি ন্যাশনাল পর্যায়ের ক্লায়েন্ট বা প্রজেক্ট সহজেই পেয়ে যাবেন।

এছাড়া, আপনি নানা ধরণের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে ও আপনার কাজের ব্যাপারে প্রচার করে ক্লায়েন্টদের আকৃষ্ট করতে পারবেন।

03. সক্রিয় এবং প্রতিক্রিয়াশীল হন

এখানে শুধু মাত্র কোন প্রোফাইল বা একাউন্ট খোললেই হবে না। আপনাকে আপনার প্রোফাইল টাকে সক্রিয় রেখে সম্ভাব্য ক্লায়েন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে এগেয় নিয়ে যেতে হবে। 

তাদের কাছ থেকে প্রজেক্ট গ্রহণ করার জন্য। মানে কাজ নেওয়ার জন্য।

কারণ আপনি মনে করুন, আপনি একজন স্বাধীন পেশাদার। তাই আপনার নিজ েএর ইনকাম এর পথ আপনাকে নিজে থেকে নির্ধারণ করতে হবে।

ক্লায়েন্ট পাওয়ার পরে, তাদের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ চালিয়ে যাবেন। যার ফলে তারা আপনার কাজের বিষয়ে সর্বদা এলার্ট থাকবে।

এছাড়া, বিশেষ করে চেষ্টা করবেন সঠিক সময়ে ক্লয়েন্ট এর কাজ সম্পন্ন করে তাদের কাছে সাবমিট করা। 

আর আপনি ক্লায়েন্ট এর কাজ সঠিক সময়ে জমা দেওয়ার পরে, পেমেন্ট নিতে পারবেন। আপনি কাজ নেওয়ার সময় যে পরিমাণের টাকা বা ডলার চেয়েছিলেন।

04. আপনার পরিষেবার প্রচার করুন

বিভিন্ন প্রকার ফিল্যান্সিং প্লাটফর্ম এ নিজের প্রোফাইল তৈরি করার পাশাপাশি। আপনারা সোশ্যাল সার্কলেও আপনার কাজ এর বিষয়ে প্রচার চালিয়ে যেতে থাকবেন।

কারণ শুধু মাত্র বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে কাজ পাওয়ার পরিবর্তে ব্যক্তি গত সুপারিশ থেকে কাজ পাওয়া যায়।

সেই জন্য আপনার উচিত হবে নিজের জানা শোনা কোন গ্রুপ এর মধ্যে আপনার পরিসেবা গুলো প্রচার করা।

05. অন্যদের সাথে কাজ করতে দ্বিধাবোধ করবেন না?

নিজের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং অতিরিক্ত কাজ আপনার কাজ এর প্রবাহ কে নষ্ট করতে পারে।

কোন প্রজেক্ট যদি আপনার সঙ্গীর দরকার হয়। তবে অবশ্যই ক্লায়েন্ট এর কাছে আরো লোক চাইবেন।

কারণ ক্লায়েন্ট রা সবকল সময় ক্লিয়ার ডিলিং এবং সৎভাবে কাজ করার বিষয়টি পছন্দ করেন।

তাই প্রয়োজনে অন্য ব্যক্তিদের সহায়তা নিয়ে প্রজেক্ট শেষ করুন এবং অবশ্যই বাকিদের তাদের প্রাপ্ত টাকা বুঝিয়ে দিন।

06. একই ক্লায়েন্ট থেকে নতুন কাজের জন্য উন্মুক্ত হন

আপনি যদি একদম সফল ভাবে একজন ক্লায়েন্ট জোগার করেন। তাহলে অবশ্যই তার কাছে থেকে বিভিন্ন প্রকার কাজ এর প্রত্যাশা রাখুন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর ক্ষেত্রে কাজ এর বহুমখিতা আপনাকে আরো বেশি কাজ পাওয়াতে সহায়তা করবে।

তার জন্য চেষ্টা করবেন। একই ক্লায়েন্টদের বিভিন্ন প্রজেক্ট পারদর্শিতার সাথে কাজ করার।

যার ফলে, আপনার কাজ এর মান দেখে সন্তুষ্ট হয়। সেই ক্লায়েন্ট আপনাকে আরো অনেক প্রজেক্ট অফার করেন।

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সেরা ৯ টি উপায় 

এখন আমরা আপনাকে মূল আলোচনাটি জানাব। যার ফলে, আপনারা জানতে পারবেন। 

একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়অর সেরা উপায় গুলো সম্পর্কে।যেমন-

01. কঠোর পরিশ্রম

সাধারণ কর্মচারী এর তুলনায় একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তার কারণ আপনাকে নিজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।

তার জন্য আপনাকে কাজের পিছনে অনেক বেশি সময় দিতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হোন। তবে প্রতিটি কাজ আপনাকে পারফেক্ট ভাবে সম্পন্ন করে দিতে হবে।

যার ফলে, কাজ এর গুণমান বজায় থাকে। আর কাজ এর গুণমান বজায় থাকলে। তাহলে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে আরো নতুন নতুন কাজ দেবে বেশি টাকার বিনিময়ে।

তার জন্য আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

02. কমিউনিকেশন স্কিল

একটি প্রবাদে আছে, কথায় কিন্তু চিড়া ভিজে নে। কিন্তু আবার সুন্দার ভাবে এবং পেশাদারী ভাবে কাথা বললে কাজ হাসিল হয়ে যায়।

মানুষকে কথার মাধ্যমে কনভিন্স করার সক্ষমতা অনেক মানুষ এর মধ্যে থাকে। তাই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই যোগাযোগ করার সঠিক দক্ষতা থাকতে হবে।

মোট কথা আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজে দ্রুত সফলতা পেতে চান। তাহলে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্ট দেরে সাথে কথা বলার মতো আপনাকে তৈরি করতে হবে। 

আর আপনি যখন বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে সঠিক ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। তখন আপনি সহজেই কাজ হাসিল করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজে কমিউনিকেশন স্কিল এর মাধ্যমে দ্রুত যে কোন দেশের লোকদের সাথে আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষা জানাতে পারবেন।  

এছাড়া আপনি যদি ক্লায়েন্টদের ভাষাই না বুঝতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু কোন ভাবেই তাদের কাছ থেকে কাজ হাসিল করতে পারবেন না।

03. পেশাদারিত্ব

কোর্ট, টাই, স্যুট না। বরং প্রফেশনালিজম বা পেশাদারিত্ব আনতে হবে। আপনার কাজ এর পদ্ধতিতে। 

এজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনাকে িনজেকে পেশাদার ভাবে উপস্থিত করতে হবে।

তার ক্লায়েন্ট মিটিং হোক আর প্রজেক্ট ডেলিভারি এর সময় হোক। আপনাকে আপনার আচার ব্যবহার এবং কাজ দুই ক্ষেত্রেই  সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে হবে।

04. সময় ব্যবস্থাপনা

এজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ব্যবস্থাপনা। আপনার ক্লায়েন্ট সব সময় আপনাকে ডেডলাইন মানে সময় শেষ নির্ভর কাজ দেবে।  এবং আপনাকে সব সময় সেটি সময়  এর মধ্যে সাবমিট করতে হবে।

তবে আপনাকে ক্লায়েন্টরা পছন্দ করবে। আর নতুন নতুন যে সকল প্রজেক্ট দরকার হবে। সেই সব আপনাকে দিয়ে করিয়ে নেবে।

05. অধ্যবসায়

ফ্রিল্যান্সিং কাজ আসলেই অনেক কঠিন। ক্লায়েন্টদের ধরে রাখতে। আপনাকে আপনার কাজ এর বিষয়ে সব সময় সিরিয়াস থাকতে হবে।

আপনাদের ক্লায়েন্টদের সম্মান প্রদর্শন এর জন্য আপনার উচিত আপনার কাজ এর বিষয়ে অবিচল থাক।

যখন একজন ক্লায়েন্ট শেষ পর্যন্ত কোন প্রজেক্ট নিয়ে আসে। তখন আপনাকে সেটি নির্দিষ্ট সময় েএর দেওয়অর জন্য অবিচল থেকে সেটি শেষ করার বিষয়ে পরিকল্পনা করবেন।

আপনাকে েএই মুহুর্তে বা ডেডলাইন এর প্রেসারে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না কিন্তু। উক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে শক্ত থেকে কাজ করতে হবে।

06. কর্তব্যপরায়ণতা

আপনাদের যত অসুবিধা থাকুন না কেন। আপনার প্রফেশনাল জায়গাতে ব্যক্তিগত সমস্যঅর কোন স্থান নেই।

আপনার ক্লায়েন্ট কখনও আপনার কোন এক্সকিউসের কথা শুনবেনা।

তার জন্য পরিস্থিতি যেমন হোক না কেন। আপনাকে কাজ গুলো সঠিক সময় এর মধ্যে দায়িত্ব সহকারে সম্পন্ন করে দিতে হবে।

আপনি একজন স্বাধীন পেশাদার তাই সময় মতো কাজ জমা না দিলে আপনার সুনাম নষ্ট হবে। এই বিষয়টি নজরে রাখবেন।

07. উদ্যোগী মনোভাব

ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোগ নিতে সকল সময় প্রস্তুত থাকতেই হবে। কালণ আপনি নিজে নিজের মালিক েএবং আপনি একাই আপনার কোম্পানির বস।

আপনি কোন উদ্যোগ না নিলে। কেই এসে আপনাকে নিজে থেকে প্রজেক্ট করে দিবে না। তাই আপনাকে নিজে নিজের উদ্যোদ দিয়ে প্রজেক্ট এবং ক্লায়েন্ট খুজতে হবে।

08. নীতিপরায়ণতা

আপনাকে প্রতিটি সময়ে আপনার ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সৎ ভাবে ডিল করতে হবে। আপনাকে নৈতিক ভাবে আপনার কাজ এর ধরণ এর প্রতি সত্যতা রেখে মান নির্ধারণ করতে হবে।

এখানে আপনারা যদি মিথ্যাবাদি বা প্রতারক হিসেবে একবার প্রমাণিত হন। তাহলে আপনার সুনাম ফিরে পেতে গেলে পাহার সমান কষ্ট করতে হবে।

আপনারা যখন কোন ভুল হয়ে যায়। তখন সে গুলো ঠিক করা আপনার কর্তব্য হিসেবে গণ করা হয়ে থাকে।

কিন্তু এর অর্থ এই না যে, আপনার ক্লায়েন্টদের অন্যায় দাবি আপনাকে পাথা পেতে নিতে হবে।

তবে ভুল যদি আপনার হয়। তবে যে কোন ভাবে ঠিক করার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।

09. লক্ষ্য নির্ধারণ ও মূল্যায়ন

বেশির ভাগ ফ্রিল্যান্সার’রা উচ্চতর লক্ষ্য নির্ধারণকারী হয়। তারা তাদের ক্লায়েন্টদের কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করে।

এছাড়া তারা ব্যক্তিগত উন্নয়ন এর জন্য এবং পেশাগত উন্নতির পরিকল্পনা নির্ধারণ করে থাকে।

আর তারা একাই এই সকল লক্ষগুলো অনুসরণ করে। তারা বোঝে যে পেশা এবং জীবন হচ্ছে পূনরাবৃত্তি মূলক প্রক্রিয়া যা তাদের লক্ষ্য পুরণ এর জন্য বারবার মূল্যায়ন এবং পুনর্মুল্যায়ন করে চলে।

তাই ফ্রিল্যান্সিং কে নিজ এর সফল কাজ হিসেবে গ্রহণ করলে চাইলে আপনাকে লক্ষ্য তৈরি করতে হবে। মূল্যায়ন করে এবং নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করার পথে অবিচল থাকতেই হবে।

শেষ কথাঃ

আমাদের আজকের এই আর্টিকেল আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে,  একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে আপনাকে উক্ত ৯ টি কাজ সম্পন্ন সম্পর্কে।

আপনি যদি উক্ত ৯ টি বিষয় মাথায় রেখে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এ নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

তো আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পরে আপনার কাছে কেমন লাগলো। অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।

আর বিশেষ করে, আমাদের এই পোস্ট টি আপনার বন্ধুদের জানিয়ে দিতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন