পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরি ?

আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি যে, পুরাতন অথবা নতুন আই-ফোন ক্রয় করার আগে কোন বিষয়গুলো যাচাই করতে হয়।

পুরাতন আইফোন কেনার আগে কি কি জানা জরুরি ?

তো বন্ধুরা চলুন মুল আলোচনায় যাওয়া যাক।

পুরাতন আইফোন ক্রয় করার আগে করনীয় ঃ

বর্তমান সময়ে, আমাদের জিবন এর গুরুত্বপুর্ণ একটি অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। 

কারন, বর্তমান প্রযুক্তিভিত্তিক সময়ে এই ছোট যন্ত্রাংশ টি যদি হাতে না থাকে তাহলে, আপনাকে অনেকটা পিছিয়ে পরতে হবে।

কিন্তু এখনও অনেক মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেনির মানুষ রয়েছে যাদের কাছে একটা স্মার্ট ফোন কেনা মানেই হচ্ছে বিলাসিতা।

যার ফলে, বেশির ভাগ মানুষ একটি স্মার্ট ফোন কেনার সময় পুরাতন ফোন এর উপর আস্থা রাখেন। 

কারন, একটি নতুন মোবাইল ফোন রিটেল বক্স থেকে বের হওয়ার পর কাস্টমার দ্বারা ব্যবহার হলেই, 
সে ফোনের মার্কেট ভ্যালু অর্ধেক এর চেয়েও কম হয়ে পরে।

এজন্য, ডিভাইস ১ দিন ব্যবহৃত করা হোক অথবা ১ বছর ব্যবহৃত করা হোক,

সেটা আর কখনো আগের প্রাইজ এ বিক্রি করা সম্ভব না।

এ অবস্থায়, ৩-৪ বছরের পুরোনো মডেল এর স্মার্ট ফোন ২০০০ টাকা হতে, ৮০০০ টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায়।

কিন্ত, যদি কারো চাহিদা লক্ষ্যাধিক মুল্যের অ্যাপল আইফোন- Apple iphone. ব্যবহারের হয়। তাহলে, বাজেট এদিক- ওদিক করতে হবে।

আপনি যেহেতু, একটি ব্যবহার করা আইফোন কিনবেন। সেহেতু, আপনাকে আগে জানতে হবে সেকেন্ডহ্যান্ড মার্কেট কিভাবে কাজ করে।

 অথবা একটি পুরোনো ফোন কেনার আগে কোন বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে। আর তা না হলে আপনি প্রতারিত হতে পারেন।

আর তাই, আপনি পরোনো ফোন কেনার আগে কোন কোন বিষয় চেক করে নিতে হবে, তা আমাদের এই পেজ থেকে শিখে রাখতে পারেন।

পুরোনো আইফোন কেনার সময় কি কি দেখবেন?

১। রশিদ দেওয়ার দাবি করুন-

আপনি যেই পুরোনো আইফোন কিনতে চাচ্ছেন সেটা " জেনুইন" অথবা আসল কিনা তা যাচাই করার জন্য প্রথমে, বিক্রেতাকে আসল রশিদ এর সফ্ট অথবা হার্ড কপি দিতে বলুন।

কারন, রশিদ দেখে আপনি ২ টি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। একটি হচ্ছে, পুর্ববর্তী মালিকানা এবং অপরটি হচ্ছে ওয়ারেন্টি স্ট্যাটাস। 

যদি রশিদ হাতে পেয়ে থাকেন তাহলে, বিক্রেতার নাম এবং আইডি রশিদের সাথে মিলিয়ে দেখুন। 

আর সেই সাথে ক্রয়ের তারিখ টি ও দেখে নিন।

রশিদ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে ফোন টির মালিক কে এবং একজন নাকি একাধিক মালিক ছিলো।

কেননা, একটি আইফোন যদি একের অধিক জন ব্যবহার করলে, সে ফোনের পারফরম্যান্স প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা শক্তিশালি থাকে।

তবে, বিক্রেতা যদি আপনাকে রশিদ দিতে ব্যর্থ হয়। তাহলে, তাকে আইফোনের প্রকৃত মালিকের সাথে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলুন।

 অথবা তার কোন লিখিত স্টেটমেন্ট দিতে বলুন।

আপনাকে এই ডকুমেন্ট গুলো নিতে বলছি কারন, অনেক সময় বিভিন্ন দোকানে চুরির জিনিসপত্র বিক্রি হয়।

২। ডিভাইস টির IMEI যাচাই করুন-

ফোনের রশিদ দেখে মালিকানা যাচাই করার পর ডিভাইস টির IMEI, অথবা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আই-ডেন্টি নাম্বারটি ভালো করে চেক করে দেখুন।

সবগুলো মোবাইল ফোন এর স্বতন্ত্র থাকে ১৫ ডিজিট এর নাম্বারটি।

এটি চেক করার জন্য আপনাকে, আইফোন টির সেটিংস অপশন এ যেতে হবে, এবং"জেনারেল" বিকল্পে ট্যাব করতে হবে।

 তারপর, তার অধিনে থাকা "এ্যাবাউট" অপশন হতে IMEI নাম্বারটি দেখে নিন।

তাছাড়াও আরো একটি অন্য পদ্ধতি আছে।সেটি হলো আপনি যে ক্রয় করবেন সেই ফোন থেকে, *#০৬# নাম্বারটি ডায়াল করে ইউনিক IMEI নাম্বারটি জানতে পারবেন।

তারপর, এই ফোনটি আসল কিনা সেটা যাচাই করার জন্য প্রদর্শিত নাম্বারটিকে রশিদ এর সাথে মিলিয়ে দেখুন।

তারপর আপনি, https://www.imei.info/ এই সাইটে গিয়ে IMEI  নাম্বারটি ইন্টার করার মধ্য দিয়ে, ডিভাইস নেটওয়ার্ক, ওয়ারেন্টি,সিস্টেম ভার্সন, দেশ সহ ফিচার সংক্রান্ত সকল তথ্যাসমুহ দেখে নিতে পারবেন।

এমনকি আপনি এটাও যানতে পারবেন যে, এই আইফোন টি চোরাই কিনা। 

৩। সিরিয়াল নম্বর দেখে নিন।

ওয়ারেন্টি ভ্যালিডেশন দেখার জন্য আপনাকে, অ্যাপল দিয়ে সবগুলো ডিভাইসের জন্য আদেশ করা সিরিয়াল নম্বর দেখতে হবে।

এজন্য আইফোন টির সিরিয়াল নম্বর চেক করার জন্য, সর্বোপ্রথমে ডিভাইসটির সেটিংস অপশনে চলে যেতে হবে।

এখন ''জেনারেল'' ও পরে ''অ্যাবাউট'' বিকল্প বাছাই করতে হবে।

সিরিয়াল নম্বর এর মধ্য দিয়ে, আপনি জানতে পারবেন যে, আপনি যে আইফোনটি নিতে চাচ্ছেন সেটি কবে,কোথায় ম্যানুফ্যাকচার করা হয়েছিল।

তাছাড়া, অ্যাপল ইন্ডিয়ার অফিসিয়াল সাইটে গিয়ে "sarvice and support coverage" <https://checkcoverage.apple.com/> এর অধিনে থাকা এই সিরিয়াল নম্বর টি ইন্টার করে আপনি ডিভাইসটির পুরোপুরি ফিচার তালিকা পেয়ে জাবেন।

আর এ সমস্ত ফিচার বিশদ কে বিক্রেতার দেওয়া তথ্যগুলির সাথে মিলিয়ে দেখুন।

৪। যন্ত্রাংশের অকৃত্রিমতা যাচাই করে দেখুন।

যে কোন ব্যবহার করা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ক্রয় করার আগে পার্টস অথেন্টিসিটি, অথবা যন্ত্রাংশের অকৃত্রিমতা অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া উচিৎ। 

এ জন্য আইফোন বিক্রেতার কাছ থেকে জেনে নিন যে, ডিভাইসটি ইতিপুর্বে, কখনো মেরামত এর কাজ করানো হয়েছে কিনা।

এমন কি কোন যন্ত্রাংশ পাল্টানো হয়েছে কিনা, এবং তা অ্যাপল অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার এর দ্বারা সমপন্ন করা হয়েছে কিনা।

কারন, স্থানীয় কোন জায়গার শপ বা অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার থেকে যদি আইফোন মেরামত করানো হয় তাহলে, সেই ফোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ''জেনুইন'' না ও হতে পারে। 

সেক্ষেত্রে, নিম্ন মানের যন্ত্রাংশ আইফোনে যুক্ত করলে পারফরমেন্স প্রভাবিত হয়ে যাবে।

উদাহরণস্বরূপ, আইফোনের LCD ডিসপ্লে যদি পরিবর্তন করে অন্য একটি প্যানেল এ ব্যবহৃত করা হয় তাহলে,

ভিজুয়াল অভিজ্ঞতা প্রভাবিত হবে তা নয় সাথে ব্যাটারি লাইফ, ডিভাইস স্পিড এমনকি ব্যাকলাইটের মতো বর্ণনাগুলিও সমানভাবে ক্ষুন্ন হয়ে যাবে।

৫। টাচস্ক্রিন এবং ফিজিক্যাল বাটন টেস্ট করুন।

একটি ডিভাইস এর কারনে তার টাচ স্ক্রিন, টাচ আইডি ও ফিজিক্যাল বাটন অনেক গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়।

কারন, এগুলোর একটিতেও যদি কোন প্রকার ত্রুটি থাকে তাহলে, ডিভাইস চালাতে সমস্যা হয়ে যাবে।

আপনি যদি ফিজিক্যাল বাটন পরীক্ষা করতে চান তাহলে, সেগুলিকে একাধিক বার প্রেস করুন, এবং তা করার কিছুক্ষন পর দেখতে থাকুন ডিফাইসটি প্রতিক্রিয়া করছে কি না।

আইফোন যদি বেশি পুরোনো হয় তবে, পাওয়ার বাটন এবং ভলিয়ম রকার গুলো প্রায় সময়ই ধীর গতিতে কাজ করে। 

অর্থাৎ একাধিক বার প্রেস করতে হতে পারে।

অপরদিকে, ডিসপ্লের টাস সেন্সিভিটি চেক করার জন্য স্ক্রিনে বার বার সোয়াইপ, জুম ও ট্যাপ করেন।

৬। রিয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা টেস্ট করুন।

অনেক মানুষ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এর চেয়ে আইফোন কিনতে বেশি পছন্দ করেন শুধু ক্যামেরা ফ্রন্ট এর জন্য।

এজন্য একটি পুরোনো আইফোন কেনার সময় আপনার যুক্তি ও যদি একইরকম হয় তাহলে, বিশেষ করে ডিভাইস এর ক্যামেরা বিভাগকে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে চেক করে নিবেন।

আপনাকে আগেই দেখে নিতে হবে যে, ক্যামেরা মডিউলে কোন রকম ফাটল আছে কি না।

তারপর, সেলফি এবং রিয়ার ক্যামেরা দিয়ে কয়েকটি ছবি তুলুন। টেস্ট করার জন্য একটি ভিডিও কল করুন এবং বিল্ট ইন ক্যামেরার কোয়ালিটি কেমন তা চেক করে নিন। 

এ সকল কিছু করতে বলার কারণ হচ্ছে, অনুমোদিত থার্ড পার্টি সার্ভিস সেন্টার হতে ডিভাইসডের যদি মেরামতের কাজ করানো হয়ে থাকে। 

এক্ষেত্রে অনেক সময় আইফোনের ক্যামেরা পার্স অদল বদল হয়ে যায়।

এজন্য আপনাকে, ব্যবহৃত  আইফোন কেনার পূর্বে অবশ্যই ক্যামেরা ও পিকচার কোয়ালিটি কেমন তা পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

৭। স্পিকার কোয়ালিটি কেমন তা চেক করুন। 

অডিওর মান সঠিক পরিষ্কার আছে কিনা সেটা বুঝার জন্য ল্যাপটপে একটি গান বা ভিডিও চালিয়ে দেখুন।  
একটি পুরনো আইফোন যদি কখনো পানিতে পড়ে নষ্ট হয়। তবে, বেশিরভাগ প্রভাবিত হয় সেই ফোনটির স্পিকার সিস্টেম। 

কিন্তু বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে, ডিভাইসটির স্পিকার গ্রিল এখনো সচল আছে নাকি ডিফেক্ট আছে। 

তাই আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি যে, একটি পুরনো আইফোন কেনার পূর্বে  সর্বোচ্চ সাউন্ড দিয়ে একটি গান বা ভিডিও চালিয়ে দেখুন। 

এবং গান চলাকালীন সময়ে কয়েকবার ভলিউম কমবেশি করুন। 

তারপর, টেস্ট করার জন্য ভয়েস কল করে আপনার অপর প্রান্তের ব্যক্তির আওয়াজ কতটা জোরালো এবং তা স্পষ্ট ভাবে শুনা যাচ্ছে কিনা চেক করে দেখে নিন। 

হাত থেকে পড়ে যাওয়ার দরুন বা ইন্টারনাল ড্যামেজ এর কারণে বিভিন্ন সময় ফোনের ভাইব্রেট ফাংশনটি আর কাজ করে না। 

এজন্য, এ বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে প্রথমে, আপনাকে আইফোনটি কে ভাইব্রেশন মুডে রাখতে হবে। 

এরপর, ভাইব্রেশন  হচ্ছে কিনা এটা বোঝার জন্য ফোনটি আপনার হাতে ধরে রাখুন।  

৮। মাইক্রোফোন টেস্ট করে দেখুন। 

অডিও সিস্টেম চেক করার পাশাপাশি, আপনাকে আইফোনের মাইক্রোফোনও পরীক্ষা করে নিতে হবে। 

কারণ আইফোন কেনার পর যদি আপনি দেখেন যে, মাইক্রোফোন একদমই কাজ করছে না।

তাহলে, ফোনে কথা বলা থেকে আরম্ভ করে ভয়েস মেসেজ এবং ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট ফিচার আপনি কোনটাই ব্যবহার করতে পারবেন না 

আর এজন্য আপনাকে বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে ফোনের পেছনে। 

কারণ, আইফোনের যন্ত্রাংশের দাম সাধারণ এন্ড্রয়েড মোবাইল গুলোর তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়ে থাকে।

এজন্য আইফোনের মাইক্রোফোন পরীক্ষা করার জন্য, 
ফোনে থাকা ভয়েস রেকর্ডিং ফিচার ব্যবহার করে, একটি ভয়েস রেকর্ড করুন এবং তা প্লে করে দেখুন সঠিক আওয়াজ হয় কিনা। 

আবার আপনি ভয়েস কল করেও ভয়েজ কোয়ালিটি চেক করে দেখতে পারেন। 

৯। সবগুলো উপলব্ধ পোর্ট টেস্ট করুন। 

এর সাথে সিম এবং SD কার্ড স্লট ও পরীক্ষা করে দেখুন।

১০। ব্যাটারি টেস্ট করুন।

কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর মস্তিষ্ক হয় যদি তার সফটওয়্যার। তাহলে, তার প্রাণ হলো ব্যাটারি। 

কেননা ব্যাটারি যদি কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় তাহলে, ডিভাইসটি অনেক বেশি সময় নিবে চার্জ হওয়ার জন্যএবং অল্প দিন ব্যবহার করলেই দ্রুত ব্যাটারি নিঃশেষ হয়ে যাবে। 

এজন্য, আইফোনের ব্যাটারি পরীক্ষা করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে, ডিভাইসটির সেটিংস অপশনে যেতে হবে। 

তারপর ''ব্যাটারি'' বিকল্পের অধীনে থাকা ''ব্যাটারি হেল্থ'' বিকল্পটি চৌস করুন। 

আপনার ভালোর জন্য বলে রাখছি যে, কোন রিচার্জেবল ব্যাটারির সীমিত আয়ু অথবা লাইভ স্পেন থাকে।

অ্যাপলের দাবি অনুযায়ী, ৫০০ টি সম্পূর্ণ চার্জিং সার্কেলের পর আইফোন এর ব্যাটারি, তার কার্যদক্ষতার  মাত্র ৮০% পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে। 

এজন্য আপনি যে ব্যবহৃত আইফোনটি নিজের জন্য কিনবেন ভাবছেন তার ব্যাটারি হেলথ  যদি ৮০% এর কম হয়।

তাহলে, সে মডেলের কর্ম ক্ষমতা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি হ্রাস পাবে, অথবা পেতে শুরু করে দিয়েছে। 

এরকম পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে ব্যাটারি রিপ্লেসমেন্ট করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। 

কিন্তু যদি, আইফোনটি ওয়ারেন্টির অধীনে থাকে তাহলে,আপনি বিনামূল্যে ব্যাটারির রিপ্লেসমেন্ট  পেয়ে যাবেন। 

আবার ওয়ারেন্টি পিরিয়ড পেরিয়ে, গেলে টাকার বিনিময়ে আপনাকে ব্যাটারি মেরামত করাতে হবে। যা অধিক ব্যয় সাপেক্ষ। 

পুরাতন আইফোন কেনার ক্ষেত্রে, কম টাকা থাকলে ফোন কেনার পর যাতে কখনো মেরামত করতে না হয় সেই পরামর্শ দিচ্ছি। 

পুরাতন আইফোন কিনলে কি কি ঝুকি থাকে?

১। আইফোন মেটাডেটা, কখনো IMEI নাম্বার মালিকানার সাথে পরিবর্তিত হয়না।

এজন্য পুর্ববর্তী মালিক এরা যদি সে ডিভাইস ব্যবহার করার পর বেইয়ানি কোন কাজ করে থাকে, তাহলে তার দায় আপনাকে নিতে হবে।

২। আজকাল পুরাতন ডিভাইস এর প্রতারণামূলক ঘটনা খুব বেড়ে গেছে। 

এজন্য, বিক্রেতারা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আসল ডিভাইসের মতো হুবহু নকল ফোন বিক্রয় করে। 

আর এ কারণে, পুরাতন ইলেকট্রনিক্স কে অনেক সস্তা দামে বিক্রি করার অন্যতম কারণ হচ্ছে, সেগুলোতে সার্টিফাইড যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় না।

তাই একটি আইফোন ক্রয় করার সময় তা আসল কিনা অবশ্যই চেক করে দেখা উচিত। 

৩। মোবাইলের ডিসপ্লে যদি ভাঙ্গা থাকে তাহলে, তা সহজেই আপনার নজরে পড়বে। কিন্তু, যদি আপনি অনলাইনে আই ফোন কিনতে চান।

 তাহলে শুধুমাত্র ছবি বা ভিডিও দেখে তার অভ্যন্তরীণ পার্ট গুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন না  

এজন্য এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেক বিক্রেতা ত্রুটিপূর্ণ বা নকল পার্টস এর ডিভাইস গুছিয়ে দেয় ক্রয়-কৃত ব্যক্তিদের কাছে। 

এজন্য আপনি যে অনলাইন স্যালারের কাছ থেকে ডিভাইস কিনতে চাচ্ছেন তার প্রোফাইলে গিয়ে পূর্ববর্তী 
ক্রেতাদের রিভিউ দেখে জেনে নিতে পারবেন যে,

ব্যক্তিটি সঠিক প্রোডাক্ট বিক্রি করে কিনা বা অন্য কারো সাথে আগে কখনো "ফ্রড" করেছে কিনা। 

অনলাইন থেকে পুরনো আইফোন কেনার বিকল্প পদ্ধতি-  

যদি আপনি অনেক সস্তা দামে একটি "জেনুইন" পুরাতন আইফোন কিনতে চান তাহলে, 

থার্ড পার্টি বিক্রেতা তথা স্টোর অথবা ডিভাইস মালিক হতে ক্রয় করার পরিবর্তে, আপনি সরাসরি অ্যাপল এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে একটি সংস্কারকৃত আইফোন বেছে কিনতে পারবেন। 

এজন্য আপনাকে জানিয়ে রাখছি যে, রিফারবিশড আইফোন সংস্থা দ্বারা সার্টিফাইড হয় এবং এর সাথে ওয়ারেন্টি কার্ড ও থাকে। 

আর তাই আপনি নিশ্চিন্তে একটা রিফারবিশড  আইফোন ক্রয় করতে পারেন। 

শেষ কথাঃ 

আশা করছি পুরাতন আইফোন কেনার সময় কি কি বিষয় যাচাই করে দেখতে হবে, তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। 

আমাদের পেইজের লেখাগুলো যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করতে ভুলবেন না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন