অনলাইনে কোন কাজ এর প্রতি মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা? এ প্রশ্ন এসখন প্রায় সকলেই করে থাকেন।
কারন, বর্তমানে আমরা সব জায়গায় বসে, মোবাইল বা ল্যাপটপ এর মাধ্যমে, অনেক রকম কাজ করতে পাচ্ছি অনলাইনে।

অনলাইনে বিভিন্ন রকমের কাজ থেকে, বিভিন্ন রকম টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনি যদি কোন কঠিন চাকরির জালে জড়িয়ে পরতে না চান তাহলে, আরো অনেক ধরনের পেশা আছে যেখানে, আপনি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন।
এই ধরনের কাজ করলে আপনি নিজেই আপনার "বস" হবেন। এমনকি ঘরে বসে আরামে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
তবে আপনার এ কাজের জন্য একটি ভালো মানের ল্যাপটপ অথবা মোবাইল থাকতে হবে।
আপনি যদি মনে করে থাকেন এসব কাজ করা অত্যন্ত সহজ। তাহলে, আপনি ভুল ভাবছেন।
কারন, রিমোর্ট মোডে কাজ করার জন্য আপনি সুবিধা পেলেও "গাইডেন্স" এর অভাব ভোগ করতে পারেন।
এজন্য, আপনি যে ধরনের কাজের সাথে যুক্ত হবেন সেই কাজের সমন্ধে সব রকম জ্ঞান থাকতে হবে।
তাই আপনি যদি নিজের জন্য একটি উপযুক্ত অনলাইন কাজ খুজেন তাহলে,
আমাদের এ পেজ থেকে বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ চাহিদায় থাকা ০৭ টি কাজের তালিকা দেখতে পারেন।
অনলাইনে যে কাজের চাহিদা বেশি? সেই কাজ গুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নেই চলুন।
১। ফ্রিল্যান্স রাইটার - Freelance Writer.
এখন প্রায় ই, আমরা সব ধরনের কাজের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি।
তবে ইন্টারনেটে থাকা যে লেখাগুলো আমাদের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য জানতে সাহায্য করে থাকে, সে গুলো কিন্তু লিখে থাকেন রাইটার রা
এর ফলে মানুষ দিন দিন বেশি ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছেন। আর এজন্যই, মানুষের চাহিদা মেটাতে নতুন নতুন সাইটের আগমন ঘটছে।
যার ফলে লেখকদের চাহিদাও বাড়ছে।
এজন্য, আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রিমোর্ট-মোডে ফ্রিল্যান্স রাইটার হয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
বা বিভিন্ন সংস্থায় ভ্যাকেন্সি থাকলে তাদের সাথে ও আপনি নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।
একজন রাইটার হিসেবে আপনাকে; আর্টিকেল রাইটিং, কন্টেন্ট ও ক্রিয়েটিভ বা ব্যতিক্রম কোন আর্টিকেল লেখার প্রস্তাব করতে পারে।
এজন্য, নির্দিষ্ট কোন বিষয় সমন্ধে আপনার সঠিক জ্ঞান থাকলে, অথবা যদি আপনার লেখার হাত ভালো থাকে তাহলে, এই কাজ আপনারই জন্য।
তবে, আপনাকে ইংরেজি - বাংলার পাশাপাশি কিছুটা স্থানীয় ভাষা সম্পর্কে ও জানতে হবে।
তবে, আপনি যদি ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে দীর্ঘ দিন কাজ করেন। তাহলে, আপনার চাকরি এবং মাইনের অভাব পরবে না।
২। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট - Virtual Assistant.
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট অথবা V A, কে সংক্ষেপে একজন স্ব- নিযুক্ত কর্মদার বলা যেতে পারে।
এ কাজে নিযুক্ত মানুষরা ছোট, বড় অনেক ব্যবসায়ীক সংস্থা গুলির হয়ে তাদের " রিমোর্ট " মোডে দৈনিক কর্ম কান্ডে সাহায্য করে থাকেন।
আর হ্যাঁ, সব ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এর কাজ সব সময় সমান হয় না।
সব সময় ক্লায়েন্ট এর চাহিদা এবং প্রয়োজন এর উপর কাজের প্রক্রিয়া নির্ভর করে।
আপনার বুঝার সুবিধার্থে, উদাহরণস্বরূপ বলে রাখি-
যদি আপনি ইন্টারনেট ব্যবহারে পারদর্শী হোন, এবং এই কাজে নিজেকে নিযুক্ত করতে চান?
তাহলে, ক্লায়েন্ট এর হয়ে আপনাকে - প্রেজেন্টেশন তৈরি, মিটিং শিডিউলিং, ফোন কলড রিসিভড, এমনকি সাইট পরিচালনা করার মতো কাজ করতে হতে পারে।
তাছাড়া, ইমেইল এর জবাব অথবা ছোট-খাটো কন্টেন্ট লেখার কাজ ও করতে হতে পারে।
কিন্তু, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ সাবজেক্ট হচ্ছে, আপনাকে সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট স্কিল ও মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড এ কাজ করা জানতে হবে।
৩। ওয়েব ডিজাইনার অথবা ডেভেলপার - Web Designer/Developer.
এখনকার সময়ে, বেশির ভাগ ব্যবসায়ীক সংস্থা, ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর পরিবর্তে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্য দিয়ে নিজেদের পন্য প্রচারিত করতে বেশি পছন্দ করছে।
কারন বর্তমানে, প্রায় সব মানুষই দিন এর বেশিভাগ সময় কাটিয়ে দেন মোবাইল দেখে।
এজন্য, এখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে প্রচার কাজ পরিচালনা করলে, অল্প সময়ের মধ্যে সব জায়গার মানুষের কাছে পৌছে যায়।
এজন্য প্রথমে, যে জিনিষটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে, একটি ওয়েব সাইট।
আর তাই এখনকার সময়ে, ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপার- দের সংখ্যা বেড়ে চলছে।
যার ফলে, আপনি যদি কোন প্রকার ইনস্টিটিউশন হতে ওয়েব ডিজাইনিং কোর্স করতে চান এবং বিভিন্ন ধরনের কোন সংস্থার হয়ে কাজ করতে চান?
তাহলে, আপনি ঘরে বসেই এ কাজ করতে পারবেন পার্সোনাল কন্ট্রাক্ট জোগাড় করার মাধ্যমে।
এজন্য আগেই বলে দিচ্ছি, একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার হতে চাইলে, আপনার মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি করার এবং অন্য রকম ভাবনা চিন্তা থাকতে হবে।
কারন, একটি সাইট এর ডিজাইন যত ভালো এবং আকর্ষণীয় হবে, ততো বেশি ভিজিটর রা সে সংস্থার পণ্য সমন্ধে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করতে চাইবে। এমনকি " পেইড কাস্টমার" এ পরিণত হবে।
৪। সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার - Social Media Manager.
প্রথমে, যেটা বলেছিলাম বর্তমান সময়ে প্রায় সকল সংস্থা গুলি অল্প খরচ এবং অল্প সময়ে প্রচার কাজ করার জন্য ইন্টারনেট এর উপর বিশ্বাস করে।
আর এ জন্য, ওয়েব সাইট এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সোশাল মিডিয়ার স্তরগুলি খুব গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখছে।
কারন, একটি সাইট যদি আপনি বানাতে চান? তাহলে আপনাকে কিছু টাকা (২০,০০০) হাতে রাখতে হবে,ওয়েব ডিজাইনার এর পারিশ্রমিক এবং ডোমেইন খরচ এর জন্য।
আবার সোশাল মিডিয়ায় ৪০-৫০ টাকা দিয়ে ও ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।
কিন্তু, শুধু বিজ্ঞাপন দিলেই যে হয়ে যাবে এমন না, মানুষকে মনোযোগী করার জন্য একটি আকর্ষণীয় পোষ্ট করতে হবে।
বার বার সেটা প্রচার করতে হবে, এমনকি ক্রেতা যদি যোগাযোগ করতে চায় তাহলে, তাদেরকে সহায়তা করতে হবে।
আর এসব কাজ একজনের পক্ষে করা সম্ভব না।
এজন্য এখন একটি নতুন কাজ এর খুব চাহিদা রয়েছে বাজারে। যা হচ্ছে সোশাল মিডিয়া ম্যানাজার।
এ কাজে যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার একটা বড় ফলোয়ার বেস থাকতে হবে।
যার মধ্যে একটি কম্পানির হয়ে আপনাকে পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রচার কাজ করতে হবে।
এর সাথে ব্যবসায়ীক সংস্থা সমুহের, যাবতীয় সোশাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন, সোশাল মিডিয়া ম্যানেজার।
৫। ইমেইল মার্কেটার- Email Marketer.
ইমেইল মার্কেটার- এর কাজ হচ্ছে, ১ টি ব্যবসায়ীক সংগঠন এর ইমেইল অ্যাডভার্টাইজ মেন্ট, বা প্রচার কাজের জন্য পরিকল্পনা করা।
এমনকি সংস্থার লয়াল কাস্টমার বেসের কয়েকটি তালিকা প্রস্ত ুত করে, ক্লায়েন্ট দের নতুন পণ্য সম্পর্কে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপন দেওয়া।
তাই প্রডাক্ট বিক্রয় এর জন্য একজন ইমেইল মার্কেটার কে অভিজ্ঞ এবং খুব দায়িত্ববান থাকতে হবে।
তাই, এ কাজে শুধু তাদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হয়, যে বা যারা মার্কেটিং বা পাবলিক রিলেশন নিয়ে পড়াশোনা করতেছে। এমনকি দীর্ঘ দিন থেকে, এ কাজের সাথে যুক্ত আছে।
আর আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মতো কাজ জানেন।
তাহলে, ইমেইল মার্কেটার হিসাবে কাজের অভাব পরবে না আপনার।
৬। অ্যানিমেশন নির্মাতা- Animation Maker.
গত কয়েকটা বছর ধরে, অ্যানিমেশন ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক হারে জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছে।
যে কারনে, হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীরা এখন লেখাপড়ার পাশাপাশি অ্যানিমেশন কোর্স করছে।
এরকম কোন কোর্স যদি আপনি ও করে থাকেন তাহলে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম মোড - এ অ্যানিমেশন ক্রিয়েটর হিসেবে আপনার কেরিয়ার গড়তে পারেন।
অ্যানিমেশন গড়ার মাধ্যমে আপনার ভেতরে থাকা প্রতিভাকে প্রকাশ করতে পারবেন।
এমনকি সেই সাথে আপনার চার পাশের ঘটনাবলি থেকে ধারনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের "ক্রিয়েটিভ " অ্যানিমেশন বানাতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে, আপনার ভাবনা ও কাজ যদি অন্যরকম হয় তাহলে, নানা ধরনের গেইম ডেভেলপমেন্ট সংস্থায় অ্যানিমেশন নির্মাতা হিসাবে নিজেকে যুক্ত করতে পারেন।
আপনি নিজের একটা ব্যবসা ও শুরু করতে পারেন আলাদাভাবে।
৭। প্রমোশনাল ভিডিও নির্মাতা - Promotional Video Maker.
আপনি যদি ফিল্ম মেকিং বিষয়ে লেখাপড়া করেন বা ফিল্ম মেকিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকে তাহলে,
আপনি নিজেই প্রমোশনাল ভিডিও মেকার হিসাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে, ছোট-বড় সব কম্পানি সহ ইনফ্লুয়েন্সার অথবা কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও তাদের কাজ প্রচারের জন্য সোশাল মিডিয়ায় ভিডিও তৈরি করে থাকেন।
কখনো আবার নিউজ পোর্টাল গুলোর ও ভিডিও গ্রাফারদের দরকর পরে।
এজন্য, আপনি যদি ঘুরতে ভালোবাসেন এমনকি আপনার ক্যামেরার হাত যদি ভালো হয় তাহলে, এই কাজটা আপনার জন্য।
কারন, প্রমোশনাল ভিডিও মেকার দের অনেকটা সময়ই কাজের জন্য ভ্রমন করতে যেতে হতে পারে।
নিচে বর্ণিত অনেক গুলো কাজ দেওয়া রয়েছে যে কাজ গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে।
এমনকি একজন ফ্রীল্যান্সার হিসেবে এ কাজ যদি জানতে পারেন তাহলে, আপনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
উদাহরণসরুপ, ভিডিও এডিটিং, স্ক্রিপ রাইটিং, লঘো ডিজাইন করা, ফটোগ্রাফি করা, এন্ড্রয়েড এপস ডেভেলপ-মেন্টের কাজ, ট্রান্সলেশন এর কাজ ইত্যাদি।
শেষ কথাঃ আপনারা যদি আমাদের এই পেজ হতে উক্ত ৭ টি বিষয় থেকে উপকৃত হয়ে থাকেন তহলে, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদের এই সাইট যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে, শেয়ার, এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।