সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৩ : সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা এবং আবেদনের নিয়ম

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আপনি কি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। জেনে নিন সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা কত টাকা লাগে।

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগবে। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট দের লিস্ট এখানে জানতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২৩ : সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা এবং আবেদনের নিয়ম

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মূলত দেশের বাইরে কাজের অনুসন্ধান করা থাকে। 

আপনি যদি বাংলাদেশের বাইরে কাজ করতে চান? তবে, অবশ্যই সিংগাপুর হবে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি দেশ।

সিঙ্গাপুরে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন কিন্তু আপনি যদি সিঙ্গাপুর এর কাজের জন্য যেতে চান।

তবে অবশ্যই আপনাকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। যেমন সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে কত টাকা লাগে সেই সঙ্গে সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স প্রয়োজন হয়। 

তার পাশাপাশি আপনি যদি কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে চান।

তবে আপনার নিকট কি কি ডকুমেন্ট থাকতে হবে। এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ ধারণা থাকা উচিত।

মূলত আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে যে, তথ্যগুলো প্রস্তুত করেছি। 

তার প্রতিটি বিষয়কে আজকে আমি ধাপে ধাপে আলোচনা করব আপনি যদি একান্ত ভাবে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে চান। 

তবে অবশ্যই আপনাকে আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।

এছাড়া আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করব এর সকল বিষয়গুলো কে খুব সহজে উপস্থাপন করা তবে আর দেরি না করে চলুন। সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়া যাক। 

যার ফলে আপনার এই রিলেটেড কোন কিছু অজানা থাকে।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা : Singapore Work Permit Visa

সর্বপ্রথম আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেটি হচ্ছে বর্তমান সময়ে সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন ধরনের কাজ পাওয়া সম্ভব হয়।

তবে, আপনি আসলে কোন ধরনের সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা পাবেন সে সম্পর্কে অবশ্যই আপনার পূর্ব ধারণা থাকা প্রয়োজন।

সে জন্য আমি সকল ধরনের সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা গুলোকে নিয়ে এবার আলোচনা করব যাতে করে।

আপনার এই বিষয়টি সম্পূর্ণ একে বারে পরিস্কার ধারনা থাকে। 

ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান পাস- যে ব্যক্তিরা মূলত উচ্চ উপার্জনকারী পেশার সাথে যুক্ত আছেন অথবা ইতোমধ্যে বিদেশে কোন পেশার কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত।

এস পাস- মধ্যম শ্রেণীর দক্ষ কর্মী যাদের প্রতি মাসের ইনকাম কমপক্ষে 2200 মার্কিন ডলার সেইসঙ্গে যে ব্যক্তিরা মূল্যায়নের মানদণ্ড পূরণ করেন। 

কর্মসংস্থান পাস- বিদেশে কোন কাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা প্রতি মাসে ইনকাম 3600 মার্কিন ডলার এবং তাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

ওয়ার্ক পারমিট- যারা বিদেশে গৃহকর্মী হিসেবে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যায় তাদেরকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেয়া হয়।

এন্ট্রি পাস- যারা মূলত, বিদেশে উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন কোন ব্যবসা তৈরী করতে চান এবং সে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে চান।

প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান পাস- বিদেশে কোন প্রফেশনালদের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা সেই সঙ্গে তাদের প্রতি মাসে ইনকাম 3000 ডলার হয়ে থাকে।

ওয়ার্ক হলিডে পাস-  অস্ট্রেলিয়ায় ছাত্র এবং ছাত্রীদের বয়স 18 থেকে 30 বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। 

তারা এক বছরের জন্য সিঙ্গাপুর দেশে কাজ করতে যান এছাড়া ছুটিতে থাকতে চান।

প্রশিক্ষণ ওয়ার্ক পারমিট- প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্র যারা মূলত সিঙ্গাপুরে ছয় মাসের জন্য ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নিতে চায়।

ডিপেন্ডন্ট পাস- স্বামী এবং স্ত্রী এবং যোগ্য এস পাস ধারকের সন্তান।

দীর্ঘমেয়াদে ভিজিট পাস- প্রতিবন্ধী সন্তান পিতা এবং মাতা সাধারণ আইনজীবীরা ছাড়া সন্তান যোগ্য কর্মসংস্থান পাস।

আপনার যদি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা এর ধরন গুলো সম্পর্কে জানতে চান তবে উপরোক্ত বিষয়টি সম্পর্কে আমি আলোচনা করেছি।

আপনি সেখান থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সকল ধরনের সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে ?

আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিতে চান? তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। যে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে। 
আপনার মনে যদি এ ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে তবে আমি আপনাকে এক কথায় উত্তর দিব। আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে আপনার 5 থেকে 6 লক্ষ টাকার মতো দরকার পড়বে।

বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক এর ভিসা সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে 5 থেকে 6 লাখ টাকার মতো প্রয়োজন হয় এর জন্য আপনাকে সেই কাজগুলোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

কিন্তু একটি কথা বলে রাখি আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে গমন করতে চান। 

তবে অবশ্যই আপনার কাজের প্রতি বিশেষভাবে, দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। 

সেইসাথে আপনার যথাযথ প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। কিন্তু এর বাইরে আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। 

যেমন-
  • হোটেল ক্লিনার
  • সেবামূলক কাজ
  • মেশিনারিজ
  • গৃহকর্মীর কাজ
এ ধরনের কাজ আপনারা সিঙ্গাপুর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত টাকা

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান, সেখানে গিয়ে আপনাকে অবশ্যই কাজ করতে হবে। 

তবে এই কাজ করার বিনিময়ে আপনি কত টাকা বেতন পাবেন সে সম্পর্কে পুরো ধারণা নেওয়া উচিত। 

কারণ সিঙ্গাপুর যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো টাকা আয় করা আর আপনি আসলে কত টাকা আয় করতে পারবেন। সেই সম্পর্কে আপনি যদি না জানেন। 

তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনাকে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যেতে হবে তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গাপুর কাজের বেতন কত টাকা।

আপনি যখন সিঙ্গাপুরে প্রাথমিকভাবে কাজ করবেন তখন আপনার সর্বনিম্ন বেতন 429 ডলার হবে। 

আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি দেখতে পারবেন যে, প্রাথমিক বেতন এর পরিমাণ আরো কম হয়ে থাকে। 

এক্ষেত্রে পরবর্তীতে আপনার দক্ষতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর আপনি 500 মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে 600 মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন।

সিঙ্গাপুর যেতে কত বছর বয়স লাগে?

যখন আপনি কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা গ্রহণ করবেন তখন অবশ্যই আপনার বয়স খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

কারণ আপনি যদি তাদের দেওয়া নির্ধারিত বয়স সম্পন্ন করতে না পারেন। তবে আপনি কোন ভাবে কাজের ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন না। 

তো এখন জানার বিষয় হচ্ছে সিঙ্গাপুর  কত বছর বয়স লাগে আর আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। 

তাহলে আপনাকে সরাসরি বলতে চাই, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সংগ্রহ করতে চাইলে, অবশ্যই আপনার বয়স ১৮ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা জানতে পারলেন সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে এবং সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা এছাড়া সিঙ্গাপুর যেতে ন্যূনতম বয়স কত লাগে ইত্যাদি।

এখন আমি আপনাকে জানিয়ে দেবো সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম। তবে তার আগে এ বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম গুলো কি?

আপনি যদি সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তবে অবশ্যই আপনার সিঙ্গাপুর অবস্থানরত কোন ব্যক্তির হাতে আমন্ত্রণ পত্র গ্রহণ করতে হবে। 

এর পাশাপাশি আপনাকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা জন্য 300 সিঙ্গাপুরি ডলার প্রদান করতে হবে। যখন আপনি সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন করবেন। 

সে সময় অবশ্যই আপনার নিকট অনেক দরকার হবে। যেগুলো আপনারা অনলাইনে আবেদন করার সময় জেনে নেবেন।

আমি এখন আপনাকে জানিয়ে দেবো সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা বাংলাদেশের এজেন্টের মাধ্যমে করতে পারবেন। 

আর আপনি যদি অনলাইনে করতে চান অনলাইনে করতে পারবেন অনলাইনে করলে আপনার হয়তো একটু ঝামেলা হতে পারে না বোঝার জন্য। সে ক্ষেত্রে আপনারা বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। 

তার জন্য আমরা বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্ট প্রস্তুত করেছি মোবাইল নাম্বার সহ দেখুন।

বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট

আমাদের মধ্যে এমন মানুষ আছে যারা মূলত বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ভিসা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী থাকে। যে সকল মানুষদের জন্য এবার আমি নিজে আলোচনায় বাংলাদেশের একটা লিস্ট প্রস্তুত করেছি। 

যেখান থেকে আপনি সকল ধরনের এজেন্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। আর তারপর আপনার বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

লেক্সাস টুরস এন্ড ট্রাভেলস, বাংলামটর, ঢাকা

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা আবেদন করতে চান? এবং দ্রুত সিঙ্গাপুর ভিসা গ্রহণ করতে চান?

তাহলে আপনারা নিচের দেওয়া ফোন নাম্বারে কল করতে পারেন। নিচের দেওয়া নম্বরটি আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। 

সেটি লেক্সাস ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস বাংলামোটর ঢাকা এর।

ফোন: ৮৬১৩১৮৪

সাইমন ওভারসিস, গুলশান, ঢাকা

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা করতে চান? তাহলে আপনার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় এজেন্সি হচ্ছে সাইমণ ওভাসিস, গুলশান, ঢাকা। নিচের নম্বরে যোগাযোগ করুন।

ফোন : ৯৮৮১৪০৮

ট্যালন কর্পোরেশন লিমিটেড, গুলশান, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা করতে চাইলে, আপনাকে অবশ্যই এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে হবে। 

আর আরও একটি অন্যতম হচ্ছে, ট্যালন কর্পোরেশন লিমিটেড। 

ফোন : ৯৮৯৪০২৮

ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড, মতিঝিল, ঢাকা

বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর ভিসা করার প্রয়োজন রয়েছে। আপনাকে ভালো একটি এজেন্সি খুঁজে নিতে হবে। 

আর তার জন্য আমরা এখানে অনেকগুলো লিস্ট প্রস্তুত করেছি। তার মধ্যে আরো একটি জনপ্রিয় ভিক্টরি ট্রাভেলস লিমিটেড।

ফোন: ৯৫৫০৯১৫

নোভোএয়ার লিমিটেড, বনানী, ঢাকা

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা করার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় এজেন্সি হচ্ছে নভোএয়ার লিমিটেড। যোগাযোগ করতে ফোন করুন।

ফোন: ০১৯৭৮৪৪৩৭১৭
আপনারা উপরোক্ত সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা করে নিতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে আজকে আমি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। 

মূলত আপনার সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে আরও অতিরিক্ত কিছু জানার থাকলে, আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আর আমি আশা করি আমাদের এই সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা সম্পর্কে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনার অনেক উপকার হয়েছে। 

আর সেই ভালো লাগা থেকে একটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। 

আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভিসা সংক্রান্ত এবং পাসপোর্ট সংক্রান্ত নতুন আপডেট পেতে চান? তাহলে নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন